LIFE-STUDY OF MATTHEW
MESSAGE SEVENTEEN
মথি সুসমাচারের জীবন-অধ্যয়ন
সপ্তদশ বাণী
রাজ্যের সংবিধানের ফরমান
(৫)
স্বর্গরাজ্যের বিষয়ে শিক্ষা এবং প্রচার যা অনুতাপের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল (৩:২; ৪:১৭)। অনুতাপ মানে মন পরিবর্তন। তাই, রাজত্ব শুরু হয় আমাদের মন দিয়ে। আমাদের মন থেকে, এটি আমাদের আত্মার দিকে এগিয়ে যায় (৫:৩)। আমাদের মনে অনুতপ্ত হতে হবে এবং আমাদের আত্মায় দরিদ্র হতে হবে। এটি অনুসরণ করে, ঈশ্বরকে দেখার জন্য আমাদের অন্তরে শুদ্ধ হতে হবে (৫:৮)। মন, আত্মা এবং হৃদয় আমাদের অভ্যন্তরীণ সত্তার তিনটি প্রধান দিক। যদি আমরা ৫:৩-১২ এর সাথে ৪:১৭ রাখি, আমরা স্বর্গরাজ্যের সাথে সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় দেখতে পাই। প্রথম তিনটি, যেমন আমরা দেখেছি, মন, আত্মা এবং হৃদয়। পরবর্তীতে আমাদের একটি স্বাভাবিক, সঠিক, উন্নত আবেগ থাকা দরকার। এটি শোকের (৫:৪) ক্ষেত্রে দেখা যায়, যা আমাদের সামঞ্জস্যপূর্ণ আবেগ থেকে আসে। এছাড়াও আমাদের নম্র হতে হবে, যার জন্য দৃঢ়, স্বাভাবিক, সঠিক ইচ্ছার প্রয়োজন। ৫:৬ পদে বলা ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত এবং তৃষ্ণার্ত একটি বিশুদ্ধ এবং সঠিক ইচ্ছার বিষয়। আমাদের রাজ্যের জন্য এই ধার্মিকতা কামনা করতে হবে। অন্যদের প্রতি করুণাময় হওয়া আমাদের মনোভাব জড়িত (৫:৭)। অন্যদের প্রতি আমাদের মনোভাব অবশ্যই করুণার সাথে এক হতে হবে। আমাদের যদি সঠিক আবেগ, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা এবং মনোভাব থাকে তবে আমরা অন্যদের সাথে শান্তি স্থাপন করতে সক্ষম হব। এইভাবে, আমাদের সমগ্র সত্তা—আমাদের মন, আত্মা, হৃদয়, আবেগ, ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা এবং মনোভাব—রাজ্য জীবনের জন্য ব্যবহার করা দরকার। যখন আমাদের মধ্যে এই সমস্ত গুণ থাকে, তখন আমরা নির্যাতিত হওয়ার যোগ্য। এগুলো না থাকলে অত্যাচার সহ্য করতে পারবেন না। অবশেষে, যারা এই সমস্ত গুণাবলী থাকার দ্বারা যোগ্য তারা কেবল ধার্মিকতার জন্য নির্যাতিত হবে না, কিন্তু খ্রীষ্টের জন্য নিন্দিত হবে। এটাই রাজ্যের মানুষের স্বভাব।
৫:৩-১২ পদে নয়টি আশীর্বাদের প্রতিটির একটি পুরষ্কার রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি আত্মায় দরিদ্র হন তবে স্বর্গরাজ্য আপনার। এটি একটি পুরস্কার। আপনি যদি শোক করেন তবে আপনি সান্ত্বনা পাবেন এবং আপনি যদি নম্র হন তবে আপনি পৃথিবীর উত্তরাধিকারী হবেন। সুতরাং, আরাম এবং পৃথিবীও একটি পুরস্কার। ১২ পদ অনুসারে, যারা খ্রীষ্টের জন্য নির্যাতিত এবং তিরস্কার করা হয় তাদের জন্য পুরস্কারটি মহান। এই পুরস্কারের নাম দেওয়া কঠিন। খ্রীষ্টের জন্য যদি আমাদের নিন্দা করা হয়, নির্যাতিত হয়, মন্দ কথা বলা হয়, তবে স্বর্গে আমাদের জন্য মহান পুরষ্কার রয়েছে, এত বড় যে তা আমাদের বোঝার বাইরে। ইব্রীয় ১৩:১৩ এবং ১ পিতর ৪:১৪ উভয়ই খ্রীষ্টের জন্য নিন্দিত হওয়ার কথা বলে। ইব্রীয় ১৩:১৩ বলে, “অতএব আইস, আমরা তাঁহার দুর্নাম বহন করিতে করিতে শিবিরের বাহিরে তাঁহার নিকটে গমন করি।” ১ পিতর ৪:১৪ বলে, “তোমরা যদি খ্রীষ্টের নাম প্রযুক্ত তিরস্কৃত হও, তবে তোমরা ধন্য; কেননা প্রতাপের আত্মা, এমন কি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিতি করিতেছেন।” তিরস্কারের এই বিষয়টি রোমীয় ১৫:৩ পদেও বলা হয়েছে। খ্রীষ্টের জন্য যারা নিন্দিত হয় তাদের জন্য একটি মহান পুরস্কার অপেক্ষা করছে। এই পদে প্রকাশিত স্বভাবের সাথে আমাদের রাজ্যের মানুষ হওয়া দরকার। তাহলে আমরা খ্রীষ্টের জন্য নিন্দা সহ্য করতে সক্ষম হব।
IV রাজ্যের লোকদের জন্য সম্পর্কিত ব্যবস্থা
এই বাণীতে আমরা পর্বতে রাজার কথার তৃতীয় অংশে এসেছি, ৫:১৭-৪৮, যা স্বর্গরাজ্যের লোকদের ব্যবস্থা সম্পর্কিত বিষয়ে বলা হয়েছে। স্বর্গ রাজ্যের সংবিধান অবশ্যই ব্যবস্থার বিষয়টিকে আবৃত করবে। প্রভু যীশুর সময়ের আগে, ইস্রায়েলের সন্তানদের কাছে মোশির ব্যবস্থা ছিল। তাদের ভাববাদী ছিলেন। ভবিষ্যদ্বাণী সর্বদা ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। মানুষ যখন ব্যবস্থা পালনে দুর্বল, তখন ব্যবস্থা পালনে তাদেরকে শক্তিশালী করার জন্য ভাববাদীদের আগমনের প্রয়োজন হয়। সুতরাং, ব্যবস্থার পরিপূর্ণতার জন্য ভাববাদীদের মাধ্যমে শক্তিশালী করার প্রয়োজন। অতএব, পুরাতন নিয়মে ব্যবস্থা এবং ভাববাদীরা ছিলেন। এই কারণেই প্রভু ১৭ পদে ব্যবস্থা ও ভাববাদীদের কথা বলেছেন।
A . ব্যবস্থা বা ভাববাদীদের বাতিল করেনি, কিন্তু তাদের পূরণ করতে
১৭ পদে বলে, “মনে করিও না যে, আমি ব্যবস্থা কি ভাববাদী গ্রন্থ লোপ করিতে আসিয়াছি; আমি তাহা লোপ করিতে আসি নাই, কিন্তু পূর্ণ করিতে আসিয়াছি। এখানে ব্যবস্থা পূর্ণ করার অর্থ তিনটি জিনিসকে বুঝায়: খ্রীষ্ট ব্যবস্থাটিকে ইতিবাচক দিকে রেখেছেন; ক্রুশে তাঁর প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে খ্রীষ্ট নেতিবাচক দিকে ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করেছেন; এবং খ্রীষ্ট এই অংশে তাঁর নতুন ব্যবস্থা দ্বারা পুরানো ব্যবস্থার পরিপূরক, যেমনটি ক্রমাগত বাক্য দ্বারা প্রকাশ করা হয়েছে, “কিন্তু আমি তোমাদের বলছি” (২২, ২৮, ৩২, ৩৪, ৩৯, ৪৪ পদসমূহ)।
ব্যবস্থার বিষয়ে, দুটি দিক রয়েছে: ব্যবস্থার আদেশ এবং ব্যবস্থার নীতি। ব্যবস্থার আদেশগুলি প্রভুর আগমনের দ্বারা পরিপূর্ণ এবং পরিপূরক হয়, যেখানে ব্যবস্থার নীতি ঈশ্বরের নতুন নিয়মের ধনাধক্ষ্য অনুসারে বিশ্বাসের নীতি দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়।
খ্রীষ্টের আগমনের আগে, ভাববাদীদের মাধ্যমে শক্তিশালীকরণের সাথে ব্যবস্থা ছিল। তারপরও কেন স্বর্গরাজ্যের ব্যবস্থার প্রয়োজন ছিল? কারণ হলো, পুরানো ব্যবস্থার চাহিদা যথেষ্ট বেশি ছিল না। পুরানো ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা সম্পূর্ণ ছিল না। হত্যার উদাহরণই ধরুন। পুরানো ব্যবস্থা্ আমাদেরকে হত্যা না করার আদেশ দিয়েছে (যাত্রা. ২০:১৩), কিন্তু এটি রাগ সম্পর্কে একটি বাক্যও বলে নি। আপনি যদি কাউকে হত্যা করেন, তাহলে আপনি মোশির আইন দ্বারা নিন্দিত হবেন। কিন্তু আপনি কারও প্রতি যতই রাগান্বিত হন না কেন, যতক্ষণ না আপনি খুন না করেন, ততক্ষণ আপনি মোশির আইন দ্বারা নিন্দিত হবেন না। এখানে আমরা পুরানো আইনের ঘাটতি, অসম্পূর্ণতা দেখতে পাই। তবে স্বর্গরাজ্যের আইনের প্রয়োজনীয়তা মোশির আইনের চেয়ে অনেক বেশি। স্বর্গরাজ্যের ব্যবস্থা অনুসারে আমাদের ভাইদের উপর রাগ করা নিষেধ। ২১ এবং ২২ পদে প্রভু বলেছেন, "তোমরা শুনিয়াছ, পূর্বকালের লোকদের নিকটে উক্ত হইয়াছিল, ‘‘তুমি নরহত্যা করিও না,” আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে’। কিন্তু আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে কেহ আপন ভ্রাতার প্রতি ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে; আর যে কেহ আপন ভ্রাতাকে বলে, ‘রে নির্বোধ,’ সে মহাসভার দায়ে পড়িবে। আর যে কেহ বলে, ‘রে মূঢ়,’ সে অগ্নিময় নরকের দায়ে পড়িবে।” সুতরাং, স্বর্গরাজ্যের আইন পুরানো ব্যবস্থার চেয়ে উচ্চতর।
এর আরেকটি দৃষ্টান্ত হল ব্যভিচার সংক্রান্ত আইন। পুরানো ব্যবস্থায় ব্যভিচার করতে নিষেধ করেছিল, কিন্তু নতুন ব্যবস্থা একজন মহিলাকে তার প্রতি লালসায় দেখতে নিষেধ করে (২৭-২৮ পদ)। সুতরাং, স্বর্গরাজ্যের ব্যবস্থার মূল নীতি হল যে এটি পুরানো ব্যবস্থার চেয়ে উচ্চতর। আমরা পুরানো ব্যবস্থা বাতিল করি না; আমরা এটি উচ্চতর করতে পূর্ণ করি। এই কারণে, প্রভু যীশু বলেছেন যে তিনি ব্যবস্থা বাতিল করতে আসেননি, কিন্তু তা পূর্ণ করতে এসেছেন।
অনেক খ্রীষ্টান ১৭ পদে “পূর্ণ” বাক্যের অর্থ যথাযথভাবে বোঝে না। বহু বছরের অধ্যয়ন, পর্যবেক্ষণ এবং অভিজ্ঞতার মাধ্যমে, আমরা দেখতে পেয়েছি যে এই পদে “পূর্ণ” বাক্যের অর্থ তিনটি জিনিস রয়েছে।
1. ইতিবাচক দিকে ব্যবস্থা রাখা
প্রথমত, এর অর্থ হল ব্যবস্থাকে খ্রীষ্ট ইতিবাচক দিকে রাখতে এসেছেন। তিনি যখন পৃথিবীতে বাস করতেন, তিনি পুরানো ব্যবস্থার প্রতিটি দিক রেখেছিলেন। আর কেউ দশটি আদেশ পালন করেনি; প্রভু যীশু সবগুলো সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করেছিলেন। তিনি পুরানো ব্যবস্থাকে খুব ইতিবাচকভাবে রেখেছিলেন।
2. ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করার মাধ্যমে নেতিবাচক দিকে ক্রুশে প্রতিস্থাপনমূলক মৃত্যু
কারণ খ্রীষ্ট ব্যবস্থা পালন করেছিলেন, তিনি একজন নিখুঁত হয়েছিলেন। তাঁর পরিপূর্ণতা তাঁকে আমাদের জন্য ক্রুশে মরতে যোগ্য করেছে। এটি একটি নেতিবাচক অর্থে ব্যবস্থা রাখা। এই দ্বিতীয় উপায়ে খ্রীষ্ট ব্যবস্থা পূর্ণ করেছেন। আমরা সবাই ব্যবস্থা ভঙ্গ করেছি, লঙ্ঘন করেছি। কিন্তু আমাদের সীমালঙ্ঘন প্রভুর প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে মোকাবেলা করা হয়েছে। ক্রুশে তিনি আমাদের বিকল্প ছিলেন, নেতিবাচক দিকে ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করতে আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করেছিলেন।
3. নতুনের সাথে পুরানো ব্যবস্থার পরিপূরক
ব্যবস্থা পূর্ণ করার অর্থ হল খ্রীষ্ট তাঁর নতুন ব্যবস্থা দ্বারা পুরানো ব্যবস্থার পরিপূরক বোঝায়। এটি বাক্য দ্বারা প্রকাশ করা হয়, “কিন্তু আমি তোমাদের বলছি” (২২, ২৮, ৩২, ৩৪, ৩৯, ৪৪)। খ্রীষ্টের ব্যবস্থা পালন করা হল তাঁকে ক্রুশের প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য যোগ্য করে তোলা। খ্রীষ্টের ক্রুশে তাঁর প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করে ব্যবস্থার পরিপূরক করার জন্য, ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে পূর্ণ করতে পুনরুত্থান জীবন এনেছিল। পুরানো ব্যবস্থা, নিম্ন ব্যবস্থা, তার পালন-চাহিদা এবং শাস্তি-প্রয়োজন সহ পূর্ণ করা হয়েছিল। রাজ্যের লোকেদের, পিতার সন্তান হিসাবে, এখন কেবল নতুন ব্যবস্থা, উচ্চতর ব্যবস্থা, পুনরুত্থান জীবনের দ্বারা পূর্ণ করা দরকার, যা হল পিতার অনন্ত জীবন।
খ্রীষ্টের প্রতিস্থাপনমূলক মৃত্যু পুনরুত্থান জীবনে নিয়ে আসে। যখন এই পুনরুত্থান জীবন আমাদের মধ্যে আসে, তখন এটি ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করার বিস্ময়কর কাজ করতে সক্ষম করে তোলে। এটি আমাদের উচ্চতর ব্যবস্থা পূর্ণ করতে সক্ষম করে। আমাদের মধ্যে পুনরুত্থান জীবন দ্বারা, আমরা শুধুমাত্র অন্যদের হত্যা থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়, কিন্তু এমনকি তাদের উপর রাগ করা বা তাদের ঘৃণা থেকেও রক্ষা করে। এই পুনরুত্থান জীবন সহজাত জীবনের চেয়ে অনেক বেশি উঁচু, কারণ এটি আসলে ঐশ্বরিক জীবন, অনন্ত জীবন, সর্বোচ্চ সমতলের জীবন। আমাদের মধ্যে এই সর্বোচ্চ জীবন সর্বোচ্চ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করতে পারে।
নতুন নিয়মে, মথি, রাজ্যের পুস্তক, প্রয়োজনীয়তার স্বার্থে এটা প্রথমে আসে। তারপর যোহন, জীবনের পুস্তক, এই প্রয়োজনীয়তাগুলি পূর্ণ করার জন্য জীবন নিয়ে আসে। আমাদের স্বাভাবিক জীবনের দ্বারা, আমরা মথি ৫ এ প্রদত্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূর্ণ করতে সক্ষম নই। কিন্তু যোহনের সুসমাচারে আমাদের সর্বোচ্চ জীবন রয়েছে যা আমাদের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তাগুলি পূর্ণ করতে সক্ষম করে। সমস্ত খ্রীষ্টান যোহন পুস্তকটি ভালবাসে, কিন্তু অনেকেই মথি পুস্তকটি ভালবাসে না। আমি সন্দেহ করি যে আমি কখনও একজন খ্রীষ্টানকে বলতে শুনেছি যে সে মথি পুস্তককে ভালবাসে। আপনাদের মধ্যে কেউ কেউ বলতে পারেন যে মথি সুসমাচারটি খুব ঝামেলাপূর্ণ এবং যোহন সুসমাচারটি খুব সহজ। এটা বলে যে শুরুতে বাক্য ছিল এবং বাক্য ছিল ঈশ্বর, এবং সেই বাক্য মাংসে পরিণত হয়েছিল, অনুগ্রহ এবং বাস্তবতায় পূর্ণ (যোহন ১:১, ১৪)। যোহনের সুসমাচারে অনেক সোনালী পদ আছে, যেমন যোহন ৩:১৬। এই সুসমাচারে খুব কম প্রয়োজনীয়তা এবং চাহিদা রয়েছে, তবে সমৃদ্ধ জীবন সরবরাহ রয়েছে। যাইহোক, নতুন নিয়মে, মথি প্রথমে আসে, যোহন নয়। আমরা মথি পুস্তককে এড়াতে পারি না। তা সত্ত্বেও, অনেক খ্রীষ্টানকে এটি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পঁয়ত্রিশ বছর আগে আমাকে শেখানো হয়েছিল যে নতুন বিশ্বাসীদের মথি পড়া উচিত নয়। আমি নিজেই নতুন বিশ্বাসীদেরকে প্রথমে মথি না পড়ার জন্য অভিযুক্ত করেছি। আমি বলেছিলাম যে তারা যদি প্রথমে মথি অধ্যায়টি পড়েন, তাহলে তারা বাইবেল পড়ার ক্ষেত্রে হতাশ হবেন এবং মনে করবেন যে এটি পড়া খুব কঠিন ছিল। তাই, আমি নতুন বিশ্বাসীদের চতুর্থ বই, যোহনের সুসমাচার দিয়ে তাদের পড়া শুরু করতে বলেছিলাম। তারপর আমি তাদের রোমীয় বা অন্য কোন বই পড়তে বলি, কিন্তু মথি নয়। কিন্তু আমাদের মথিতে ফিরে আসতে হবে। মথি পুস্তকটি যোহন পুস্তককে প্রয়োজন, এবং যোহন হল মথি পুস্তকের জন্য। মথি আমাদের রাজ্যের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তা দেয়, প্রয়োজনীয়তা যা শুধুমাত্র যোহনে প্রকাশিত ঐশ্বরিক জীবন দ্বারা পূর্ণ করা যেতে পারে। মথিতে উন্মোচিত স্বর্গরাজ্যের প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করার জন্য, আমাদের অবশ্যই যোহনের সুসমাচারে পাওয়া জীবনের সরবরাহকে পেতে হবে।
যীশু, নতুন রাজা, মোশির ব্যবস্থা বাতিল করতে আসেননি। বরং তিনি এসেছেন পুরাতন ব্যবস্থার মান উন্নীত করতে। এখন যেহেতু প্রয়োজনীয়তা অনেক বেড়ে গেছে, এটি আর পুরাতন ব্যবস্থা নয়, যা স্বর্গরাজ্যের নতুন ব্যবস্থা। খ্রীষ্ট দুটি উপায়ে পুরাতন ব্যবস্থার মান উন্নত করেছিলেন: পুরাতন ব্যবস্থার পরিপূরক এবং এটি পরিবর্তন করে। ১৭ থেকে ৩০ পদে আমরা পুরাতন ব্যবস্থার পরিপূরক দেখতে পাই। ব্যবস্থার পরিবর্তন ৩১ পদ দিয়ে শুরু হয়। এই বাণীতে আমরা শুধুমাত্র পুরাতন ব্যবস্থার পরিপূরককে পূর্ণ করতে পারি।
১৮ পদে বলে, “কেননা আমি তোমাদিগকে সত্য কহিতেছি, যে পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী লুপ্ত না হইবে, সেই পর্যন্ত ব্যবস্থার এক মাত্রা কি এক বিন্দুও লুপ্ত হইবে না, সমস্তই সফল হইবে।” সহস্রাব্দের রাজ্যের পরে, পুরাতন স্বর্গ এবং পুরাতন পৃথিবী চলে যাবে এবং নতুন স্বর্গ এবং নতুন পৃথিবী আসবে (প্রকাশিত বাক্য ২১:১; ইব্রীয় ১:১১-১২; ২ পিতর ৩:১০-১৩)। ব্যবস্থা যা অতিক্রম করে তা কেবল সহস্রাব্দের রাজ্যের শেষ পর্যন্ত প্রসারিত, যেখানে নবীরা যা অতিক্রম করে তা নতুন স্বর্গ এবং নতুন পৃথিবী পর্যন্ত প্রসারিত (যিশা. ৬৫:১৭; ৬৬:২২)। এই কারণেই ব্যবস্থা এবং নবী উভয়কেই ১৭ পদে উল্লেখ করা হয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র ব্যবস্থা, নবীদের নয়, ১৮ পদে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্যবস্থার পরিপূর্ণতা সহস্রাব্দের শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হবে, সেই সময়ে আকাশ ও পৃথিবী চলে যাবে। এটি হওয়ার আগে, পুরাতন ব্যবস্থার দশমাংশ বা শিরোনাম একটিও বাতিল করা হবে না। যাইহোক, নবীদের দ্বারা যা আচ্ছাদিত হয় তা সহস্রাব্দের চেয়ে অনেক দূরে, নতুন স্বর্গ এবং নতুন পৃথিবীতে পৌঁছাবে।
খ্রীষ্ট তিনটি উপায়ে ব্যবস্থা পূর্ণ করেছেন। তিনি নিজেই ব্যবস্থা রক্ষা করেছেন। যাইহোক, যেহেতু আমরা তা রাখিনি, তিনি আমাদের ব্যবস্থা লঙ্ঘনের জন্য ক্রুশে মারা গিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিস্থাপিত মৃত্যু পুনরুত্থান জীবন নিয়ে এসেছিল, যা আমাদের সত্তায় দেওয়া হয়েছে। তাঁর পুনরুত্থান জীবনের দ্বারা আমরা নতুন, উচ্চতর ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূর্ণ করতে সক্ষম। এই তিনটি পদক্ষেপের মাধ্যমে খ্রীষ্ট পুরানো ব্যবস্থার চেয়ে বেশি পূর্ণ করেছেন। তিনি তা রেখেছেন, তিনি আমাদের জন্য মারা গেছেন, এবং তাঁর মৃত্যু আমাদের মধ্যে পুনরুত্থানের জীবন নিয়ে এসেছে যাতে নতুন ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য আমাদের শক্তিশালী করা যায়। আজ আমরা নিম্ন ব্যবস্থা রাখার চেষ্টা করছি না; বরং, আমরা আমাদের মধ্যে থাকা সর্বোচ্চ জীবনের মাধ্যমে উন্নত, উচ্চতর ব্যবস্থা পালন করছি। এখন আমরা সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রাখতে পেরেছি।
B . রাজ্যে মহান হতে ব্যবস্থার সামান্যতম আদেশ পালন করা
১৯ পদে বলে, “অতএব যে কেহ এই সকল ক্ষুদ্রতম আজ্ঞার মধ্যে কোন একটি আজ্ঞা লঙ্ঘন করে, ও লোকদিগকে সেইরূপ শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ক্ষুদ্র বলা যাইবে; কিন্তু যে কেহ সেই সকল পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গ-রাজ্যে মহান বলা যাইবে।” এখানে আদেশগুলি ১৮ পদের ব্যবস্থাকে নির্দেশ করেছে। রাজ্যের লোকেরা কেবল ব্যবস্থাকে পরিপূর্ণ করে না, কিন্তু ব্যবস্থার পরিপূরক। প্রকৃতপক্ষে, তারা ব্যবস্থার কোনো আদেশ বাতিল করে না, এমনকি অন্তত একটিও নয়। স্বর্গ রাজ্যে আমরা বড় বা ছোট হব কিনা তা নির্ভর করে আমরা ব্যবস্থার সামান্যতম আদেশও পালন করি কি না তার উপর। এই পদটিতে খ্রীষ্ট এই বিষয়টির উপর জোর দিয়েছিলেন যে আমরা যদি ব্যবস্থার সামান্যতম আদেশগুলি না রাখি, তবে সেগুলি বাতিল করি এবং অন্যদেরকে সেগুলি বাতিল করতে শেখাই তবে আমরা স্বর্গ রাজ্যে সামান্যতম হব। অন্য কথায়, খ্রীষ্ট মনে হচ্ছে বলছেন, “অতএব যে কেহ এই সকল ক্ষুদ্রতম আজ্ঞার মধ্যে কোন একটি আজ্ঞা লঙ্ঘন করে, ও লোকদিগকে সেইরূপ শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গরাজ্যে অতি ক্ষুদ্র বলা যাইবে; কিন্তু যে কেহ সেই সকল পালন করে ও শিক্ষা দেয়, তাহাকে স্বর্গ-রাজ্যে মহান বলা যাইবে।" রাজ্যের মানুষের মতো অন্য কোনো মানুষের নৈতিকতা উচ্চ নয়। কখনই ভাববেন না যে আমরা কেবল জীবনের জন্য চিন্তা করি, নৈতিকতার জন্য নয়। জীবনের অবশ্যই তার অভিব্যক্তি থাকতে হবে, এবং সর্বোচ্চ জীবনের সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি রয়েছে। নৈতিকতা কেবল জীবনের অভিব্যক্তি। এইভাবে, আপনার যদি সর্বোচ্চ জীবন থাকে তবে আপনি অবশ্যই এই জীবনের অভিব্যক্তি হিসাবে সর্বোচ্চ নৈতিকতা পাবেন। আমাদের প্রার্থনা করতে হবে, “প্রভু, আমাকে জীবনের সর্বোচ্চ অভিব্যক্তি দিন। আমাকে নৈতিকতার সর্বোচ্চ স্তর দান করুন। প্রভু, আমরা শুধু নৈতিক মানুষ নই, রাজ্যের মানুষ।"
কারণ রাজ্যের মান নৈতিকতার মান থেকে উচ্চতর, আমাদের অবশ্যই পুরানো ব্যবস্থার মান রাখার চেয়ে আরও বেশি কিছু করতে হবে। নৈতিকতার মানদণ্ড অনুযায়ী আমাদের খুন বা ব্যভিচার করা উচিত নয়। খুন ও ব্যভিচার পরিহার করলে আমরা নৈতিক মানুষ হয়ে উঠি। কিন্তু এই ধরনের মান রাজ্যের তুলনায় অনেক কম। স্বর্গরাজ্যের মানদণ্ড অনুসারে, আমাদের ভাইয়ের প্রতি রাগ করা উচিত নয় বা কোনও মহিলার প্রতি লালসার দৃষ্টিতে তাকানো উচিত নয়। এটা নৈতিকতার মান নয়; এটি রাজ্যের মান, যা নৈতিকতার চেয়ে অনেক বেশি। নৈতিকতার মান বলে, "চোখের বদলে চোখ, দাঁতের বদলে দাঁত" (যাত্রা. ২১:২৪; লেবি. ২৪:২০; দ্বিতী. ১৯:২১)। কিন্তু রাজ্যের মান আমাদের শত্রুদের ভালবাসতে, যারা আমাদের নিপীড়ন করে তাদের জন্য প্রার্থনা করতে এবং যারা মন্দ তাকে প্রতিরোধ না করতে বলে (৪৪, ৩৯ পদ.)। যদি কেউ আমাদের ডান গালে আঘাত করে, তবে আমাদের অন্য গালেও তার দিকে ফিরে যাওয়া উচিত (৩৯ পদ)। নৈতিকতার মানদণ্ডের চেয়ে এই মান কত বেশি!
এই পদগুলিতে খ্রীষ্ট যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছেন তা হল রাজ্যের লোকদের অবশ্যই নৈতিকতার সর্বোচ্চ মান থাকতে হবে। যদি আমরা এই বিষয়টি দেখি, তাহলে আমরা বুঝতে পারি ৫:১৭-৪৮। আমাদের আছে সর্বোচ্চ আইন, সর্বোচ্চ জীবন, সর্বোচ্চ মান। সর্বোচ্চ জীবনের দ্বারা আমরা সর্বোচ্চ আইন পূর্ণ করি এবং সর্বোচ্চ মানদণ্ড লাভ করি।
C. রাজ্যে প্রবেশের সর্বশ্রেষ্ঠ ধার্মিকতার মূল শর্ত
২০ পদে রাজা বলেছিলেন, "আমি তোমাদের বলছি, ধর্ম-শিক্ষক ও ফরীশীদের ধার্মিকতার চেয়ে তোমাদের যদি বেশী কিছু না থাকে তবে তোমরা কোনমতেই স্বর্গ-রাজ্যে ঢুকতে পারবে না।" সহস্রাব্দে স্বর্গরাজ্যের প্রকাশের মধ্যে প্রবেশ করার শর্ত হল সর্বশ্রেষ্ঠ ধার্মিকতা। সর্বোচ্চ ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ মানদণ্ডে রেখে আমরা স্বর্গরাজ্যের আসন্ন প্রকাশে প্রবেশের শর্ত পূরণ করি।
২০ পদে ধার্মিকতা উদ্দেশ্যমূলক ধার্মিকতাকে নির্দেশ করে না, যা আমরা খ্রীষ্টকে গ্রহণ করি যখন আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি যাতে আমরা ঈশ্বরের সামনে ধার্মিক হতে পারি (ফিলি. ৩:৯; ১ করি. ১:৩০; রোম. ৩:২৬)। এটি বিষয়গত ধার্মিকতাকে বোঝায়, যা বসবাসকারী খ্রীষ্ট আমাদের ধার্মিকতা হিসাবে আমাদের মধ্যে বেঁচে ছিলেন যাতে আমরা আজ রাজ্যের বাস্তবতায় বাস করতে পারি এবং ভবিষ্যতে এর প্রকাশে প্রবেশ করতে পারি। এই বিষয়গত ধার্মিকতা শুধুমাত্র পুরানো ব্যবস্থা পূর্ণ করার মাধ্যমে পাওয়া যায় না, কিন্তু স্বর্গরাজ্যের নতুন ব্যবস্থা, বাক্যের এই অংশে এখানে নতুন রাজা কর্তৃক প্রদত্ত ব্যবস্থার পূর্ণতার মাধ্যমে পুরানো ব্যবস্থা সম্পূর্ণ করে। রাজ্যের লোকদের এই ধার্মিকতা, রাজ্যের নতুন ব্যবস্থা অনুসারে, পুরানো ব্যবস্থা অনুসারে শাস্ত্রবিদ এবং ফরীশীদের চেয়েও বেশি। আমাদের স্বাভাবিক জীবনের পক্ষে এই অতিশয় ধার্মিকতা লাভ করা অসম্ভব; এটা শুধুমাত্র একটি উচ্চতর জীবন দ্বারা উত্পাদিত হতে পারে, তা হল খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের জীবন। এই ধার্মিকতা, যা বিবাহের পোশাকের সাথে তুলনা করা হয় (২২:১১-১২), আমাদের মেষশাবকের বিবাহে অংশগ্রহণ করার জন্য যোগ্য করে (প্রকাশিত. ১৯:৭-৮) এবং স্বর্গরাজ্যের উত্তরাধিকারী তার প্রকাশের মধ্যে, অর্থাৎ , ভবিষ্যতে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করা।
ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশের জন্য আমাদের জীবনের একটি নতুন সূচনা হিসাবে পুনর্জন্মের প্রয়োজন (যোহন ৩:৩, ৫), কিন্তু স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের জন্য পুনর্জন্মের পরে আমাদের জীবনযাত্রায় ধার্মিকতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দাবি রয়েছে। স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের অর্থ হল আজকের বাস্তবতায় বসবাস করা এবং ভবিষ্যতে এর প্রকাশে অংশগ্রহণ করা।
D. হত্যা সংক্রান্ত
1. পুরানো ব্যবস্থা - হত্যা নয়
২১ পদে বলে, "তোমরা শুনেছ, আগেকার লোকদের কাছে এই কথা বলা হয়েছে, ‘খুন কোরো না; যে খুন করে সে বিচারের দায়ে পড়বে।" পুরনো ব্যবস্থায় হত্যা না করার নির্দেশ ছিল। ২১, ২৭, ৩৩, ৩৮ এবং ৪৩ পদে যা "আপনি শুনেছেন" তা হল পুরাতন ব্যবস্থার আইন; যেখানে ২২, ২৮, ৩২, ৩৪, ৩৯ এবং ৪৪ পদে "আমি তোমাকে বলছি" তা হল রাজ্যের নতুন ব্যবস্থা, যা পুরানো ব্যবস্থার আইনের পরিপূরক৷
2. নতুন পরিপূরক ব্যবস্থা- ভাইয়ের সাথে রাগ না করা, ভাইকে ঘৃণা না করা, এবং ভাইয়ে নিন্দা না করা
২২ পদে রাজা বলেছিলেন, “কিন্তু আমি তোমাদের বলছি, যে কেউ তার ভাইয়ের উপর রাগ করে সে বিচারের দায়ে পড়বে। যে কেউ তার ভাইকে বলে, ‘তুমি অপদার্থ,’ সে মহাসভার বিচারের দায়ে পড়বে। আর যে তার ভাইকে বলে, ‘তুমি বিবেকহীন,’ সে নরকের আগুনের দায়ে পড়বে।” পুরানো ব্যবস্থার হত্যার কাজ নিয়ে কাজ করে, কিন্তু রাজ্যের নতুন ব্যবস্থার ক্রোধ, হত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে। তাই পুরাতন ব্যবস্থার চাহিদার চেয়ে রাজ্যের নতুন ব্যবস্থার চাহিদা আরও গভীর। ২২ পদে "ভাই" বাক্যটি প্রমাণ করে যে এখানে রাজার বাক্যটি বিশ্বাসীদের জন্য বলা হয়েছে।
আমাদের জন্য সবচেয়ে কঠিন কাজ হল আমাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা। কারো কারো খুব ভদ্র হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু মেজাজ হারিয়ে তাদের রাগ ছিল বন্য ঘোড়ার মতো। যখন আমাদের ক্রোধ মুক্তি পায়, তখন কেউ আমাদের আটকাতে বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কয়েক বছর ধরে আমি আমার রাগের সমস্যায় এই অধ্যায়টি পার করতে পারিনি।
অন্যকে ঘৃণা বা নিন্দা না করাও আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। ২২ পদে প্রভু আমাদের ভাইকে "রে নির্বোধ" বা "রে মূঢ়" বলার বিষয়ে কথা বলেছেন। রে নির্বোধ শব্দটি অবজ্ঞার একটি অভিব্যক্তি যার অর্থ মূর্খ, ভাল কিছু না। রে মূঢ়, অর্থাৎ বোকা, নিন্দার একটি ইব্রীয় অভিব্যক্তি যা একটি বিদ্রোহীকে নির্দেশ করে (গণনা. ২০:১০)। এই অভিব্যক্তিটি অবজ্ঞার অভিব্যক্তির চেয়েও গুরুতর, রে নির্বোধ। কোন ভাইকে নিন্দা করা বা তাকে অবজ্ঞা করা কত কঠিন! সম্ভবত আপনি কাউকে ঘৃণা বা নিন্দা না করে এক সপ্তাহও যেতে পারবেন না। মনে হচ্ছে প্রায় প্রতিদিনই আমরা হয় ঘৃণা বা নিন্দা করি। স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ঘৃণা ও নিন্দা করি। আমি বিশ্বাস করি না যে এর অন্য একটি ব্যতিক্রম আছে। প্রত্যেক স্ত্রী তার স্বামীকে ঘৃণা ও নিন্দা করেছে, এবং প্রত্যেক স্বামী তার স্ত্রীর সাথে একই আচরণ করেছে। এটি একটি বাস্তব সমস্যা। আপনি যখন এটি পড়েন, তখনও কি আপনি বলতে পারেন যে আপনি জয়ী, রাজ্যের মানুষ? হতাশ হবেন না। বরং উৎসাহিত করুন। মনে রাখবেন, আমাদের একটি জয়ী জীবন আছে। তোমার মধ্যে কি রাজা নেই? আমরা রাজ্যের মানুষ, এবং আমাদের মধ্যে রাজা আছে। এই রাজা রাজকীয়, জীবনকে জয় করেন। নিজের দিকে তাকিও না। যদি আপনি করেন, আপনি সম্পূর্ণরূপে নিরুৎসাহিত হবেন। নিজেকে ভুলে যাও এবং তোমার ভেতরের রাজকীয় জীবনের দিকে তাকাও। এই জীবনই আমাদের রাজ্যের মানুষ করে তোলে। আপনার স্বাভাবিক জীবন ভুলে যান এবং এই রাজকীয় জীবন অনুসরণ করুন।
২২ পদে তিন ধরনের বিচার রয়েছে। প্রথমটি শহরের গেটে বিচার, যা হল জেলা বিচার। দ্বিতীয়টি হল মহাসভার বিচার, যা উচ্চতর বিচার। মহাসভা হল প্রধান যাজক, প্রাচীন, আইনজীবী এবং লেখকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি পরিষদ। এটি যিহূদীদের সর্বোচ্চ আদালত (লূক ২২:৬৬; প্রেরিত ৪:৫-৬, ১৫; ৫:২৭, ৩৪, ৪১)। তৃতীয়টি হল আগুনের গেহেনার মাধ্যমে ঈশ্বরের বিচার, যা হল সর্বোচ্চ বিচার। এই তিন ধরণের বিচার নতুন রাজা যিহূদী পটভূমির পরিসংখ্যান ব্যবহার করে উল্লেখ করেছিলেন, কারণ তাঁর সমস্ত শ্রোতা ছিল যিহূদী। যাইহোক, রাজ্যের লোকদের সম্পর্কে, নতুন নিয়মের বিশ্বাসী, এই সমস্ত বিচারগুলি খ্রীষ্টের বিচারের আসনে প্রভুর বিচারকে নির্দেশ করে, যেমনটি ২ করিন্থীয় ৫:১০ এ প্রকাশিত হয়েছে; রোম. ১৪:১০, ১২; ১ করিন্থীয় ৪:৪-৫; ৩:১৩-১৫; মথি ১৬:২৭; প্রকাশিত বাক্য ২২:১২; এবং ইব্রীয় ১০:২৭, ৩০। এখানে এটি স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে যে নতুন নিয়মের বিশ্বাসীরা, যদিও ঈশ্বরের দ্বারা চিরতরে ক্ষমা করা হয়েছে, তবুও তারা প্রভুর বিচারের জন্য দায়বদ্ধ, ধ্বংসের জন্য নয়, কিন্তু শৃঙ্খলার জন্য, যদি তারা প্রদত্ত রাজ্যের ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পাপ করে। যাইহোক, যখন আমরা রাজ্যের নতুন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে পাপ করি, যদি আমরা অনুতপ্ত হই এবং আমাদের পাপ স্বীকার করি, আমরা প্রভু যীশুর রক্তের দ্বারা ক্ষমা ও শুদ্ধ হব (১ যোহন ১:৭, ৯)।
২২ পদে নতুন রাজা আগুনের গেহেনার কথা বলেছেন। Gehenna শব্দটি হিব্রু Ge Hinnom, Hinnom উপত্যকার গ্রীক সমতুল্য। এটি যিরূশালেমের কাছে একটি গভীর এবং সংকীর্ণ উপত্যকা ছিল, শহরের আবর্জনার স্থান, যেখানে অপরাধীদের মৃতদেহ এবং সমস্ত ধরণের নোংরা ঢালাই করা হয়েছিল। একে নির্বোধ বা মূঢ় বলা হত (২ রাজা. ২৩:১০; যিশা. ৩০:৩৩; যির. ১৯:১৩)। ক্রমাগত আগুনের কারণে, এটি চিরন্তন শাস্তির স্থান, আগুনের হ্রদ (প্রকা. ২০:১৫) এর প্রতীক হয়ে ওঠে। এই বাক্যটি মথি ৫:২৯, ৩০ পদেও ব্যবহৃত হয়েছে; ১০:২৮; ১৮:৯; ২৩:১৫, ৩৩; মার্ক 9:৪৩, ৪৫, ৪৭; লূক ১২:৫; এবং যাকোব ৩:৬।
a . ঈশ্বরকে উপহার দেওয়ার আগে, আপনার ভাইয়ের সাথে নিজেকে পুনর্মিলন করা
২৩ এবং ২৪ পদে বলে, “অতএব তুমি যখন যজ্ঞবেদির নিকটে আপন নৈবেদ্য উৎসর্গ করিতেছ, তখন সেই স্থানে যদি মনে পড়ে যে, তোমার বিরুদ্ধে তোমার ভ্রাতার কোন কথা আছে, তবে সেই স্থানে বেদির সম্মুখে তোমার নৈবেদ্য রাখ, আর চলিয়া যাও, প্রথমে তোমার ভ্রাতার সহিত সম্মিলিত হও, পরে আসিয়া তোমার নৈবেদ্য উৎসর্গ করিও।” বলিদান, পাপের জন্য বলি হিসাবে, পাপের সাথে মোকাবিলা করার জন্য; একটি উপহার ঈশ্বরের সঙ্গে সহভাগিতা জন্য যেখানে ২৩ পদে যে বেদীর কথা বলা হয়েছে তা ছিল মন্দিরের বাইরের প্রাঙ্গণে আসবাবপত্রের একটি টুকরো (যাত্রা. ২৭:১-৮) (১ রাজাবলি ৮:৬৪), যার উপরে সমস্ত বলি ও উপহার দেওয়া হত (লেবী. ১:৯, ১২, ১৭)। রাজা, রাজ্যের নতুন ব্যবস্থার আদেশে, এখানে উপহার এবং পুরানো ব্যবস্থার বেদীর কথা উল্লেখ করেছেন কারণ, পৃথিবীতে তাঁর পরিচযার ক্ষণস্থায়ী সময়কালে, পুরানো ব্যবস্থার আনুষ্ঠানিক ব্যবস্থা এখনও বন্ধ হয়নি। চারটি সুসমাচারে, তাঁর মৃত্যু এবং পুনরুত্থানের আগে, পরিস্থিতি সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, প্রভু তাঁর শিষ্যদেরকে পুরানো ব্যবস্থা অনুসারে যিহূদী হিসাবে ব্যবহার করেছিলেন; যেখানে আত্মা এবং জীবন সম্পর্কিত বিষয়গুলিতে, তিনি তাদের বিশ্বাসী হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন যারা নতুন নিয়মের ধনাধক্ষ্য অনুসারে মণ্ডলী গঠন করেছে।
২৩ পদে "তোমার বিরুদ্ধে কিছু" বাক্যগুলি অবশ্যই ২২ পদে রাগ বা তিরস্কারকে নির্দেশ করে। ২৪ পদ অনুসারে, আমাদের প্রথমে আমাদের ভাইয়ের সাথে মিলিত হতে হবে যাতে আমাদের অপরাধের স্মরণ মুছে ফেলা যায় এবং আমাদের বিবেক শূন্য হতে পারে। বিশুদ্ধ বিবেকের সাথে তাঁর সাথে মিশ্রণের জন্য তাঁর কাছে আমরা আসতে পারি এবং প্রভুর কাছে আমাদের উপহার দিতে পারি। রাজ্যের রাজা কখনই সহ্য করবেন না যে দুই ভাই মধ্যে যদি একে অপরের সাথে মিলিত না হয় রাজ্যকে তার বাস্তবে ভাগ করে নেয় বা তার প্রকাশে রাজত্ব করে। যদি, আপনি প্রভুর সাথে যোগাযোগ করতে আসেন, আপনার মনে হয় যে আপনার বিরুদ্ধে কোন ভাই বা বোনের অভিযোগ আছে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই প্রভুর সাথে আপনার বন্ধুত্ব বন্ধ করতে হবে এবং আগে সে ভাইয়ের কাছে যেতে হবে এবং পুনর্মিলন করতে হবে। তারপর আপনি প্রভুর সাথে আপনার সহযোগীতা চালিয়ে যেতে ফিরে আসতে পারেন। যদিও এটি একটি ছোট জিনিস, এটি করা সহজ নয়। যাইহোক, আমাদের এটা করতে হবে।
B. আপনি মারা যাওয়ার আগে, আপনার প্রতিপক্ষ মারা যায়, অথবা প্রভু ফিরে আসেন
২৫ এবং ২৬ পদে বলে, "তুমি যখন বিপক্ষের সঙ্গে পথে থাক, তখন তাহার সহিত শীঘ্র মিলন করিও, পাছে বিপক্ষ তোমাকে বিচারকর্তার হস্তে সমর্পণ করে, ও বিচারকর্তা তোমাকে রক্ষীর হস্তে সমর্পণ করে, আর তুমি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হও। আমি তোমাকে সত্য কহিতেছি, যাবৎ শেষ কড়িটা পর্যন্ত পরিশোধ না করিবে, তাবৎ তুমি কোন মতে সেই স্থান হইতে বাহিরে আসিতে পারিবে না।” আমাদের প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের দ্রুত নিষ্পত্তি করা দরকার, পাছে যদি আমরা মারা যাই, আমাদের প্রতিপক্ষও মারা যাবে, অথবা প্রভু ফিরে আসলে এবং এইভাবে আমাদের প্রতিপক্ষের সাথে মিলিত হওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। “পথে” বাক্যগুলি বোঝায় যে আমরা এখনও এই জীবনে বাস করছি। বিচারকের কাছে, অফিসারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এবং কারাগারে নিক্ষিপ্ত হওয়ার বিষয়টি খ্রীষ্টের বিচারের আসনে আবর্তিত হবে যখন তিনি ফিরে আসবেন (২ করি. ৫:১০; রোম. ১৪:১০)। বিচারক হবেন প্রভু, অফিসার হবেন দেবদূত এবং কারাগার হবে শৃঙ্খলার স্থান। সেখান থেকে বেরিয়ে আসা, অর্থাৎ, কারাগার থেকে বেরিয়ে আসা, আগামী যুগে, সহস্রাব্দে ক্ষমা করা হবে।
২৬ পদে বলা হয়েছে রোমের এক পয়সার পিতলের মুদ্রা একটি অ্যাসারিয়নের এক চতুর্থাংশের সমান, যা এক শতাংশের সমান। এখানে অর্থ হল ক্ষুদ্রতম জিনিসের সাথেও আমাদের একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ খাটিঁ করতে হবে। এতে নতুন ব্যবস্থার কঠোরতা বোঝা যায়।
আমরা মরে যাবার আগে, তার মৃত্যুর আগে, বা প্রভু ফিরে আসার আগে আমাদের প্রতিপক্ষের সাথে আমাদের মিলন করা দরকার। এখন যদি আমরা কোনো বিষয়ে যত্ন না নিই, তাহলে আমাদের আগামী যুগে এর জন্য মোকাবেলা করতে হবে। পরবর্তী বয়সের জন্য অপেক্ষা করবেন না, মোকাবেলার জন্য তখন আরও ঝামেলা হবে। প্রতিপক্ষের মৃত্যুর আগে বা প্রতিপক্ষের মৃত্যুর আগে প্রতিটি সমস্যার এখনই যত্ন নিন। যখন আপনারা উভয়ই বেঁচে যায়, তখন আপনার কাছে তার সাথে মিলিত হওয়ার সুযোগ থাকবে। তদ্ব্যতীত, আপনি যদি অপেক্ষা করেন, আপনার পুনর্মিলন হওয়ার আগে প্রভু ফিরে আসতে পারেন। একদিকে, প্রভুর ফিরে আসা দুর্দান্ত হবে। অন্যদিকে, এটি বরং গুরুতর হবে, কারণ এটি এই যুগে সমস্যাগুলি মোকাবেলা করার সুযোগ বন্ধ করে দেবে এবং পরবর্তী যুগে তাদের মোকাবেলা করতে বাধ্য করবে। তাই আসন্ন বয়সের আগেই প্রতিটি সমস্যার সমাধান করা অনেক ভালো হবে। এর অর্থ হ'ল আমরা মরে যাবার আগে, অন্য পক্ষ মারা যাওয়ার আগে বা প্রভু ফিরে আসার আগে আমাদের অবশ্যই প্রতিটি সমস্যার যত্ন নিতে হবে।
E. ব্যভিচার সংক্রান্ত
1. পুরানো ব্যবস্থা-ব্যভিচার না করা
২৭ পদে বলে, “তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, ‘‘তুমি ব্যভিচার করিও না।” এটি পুরানো আইন, ব্যভিচার না করার আদেশ (যাত্রা. ২০:১৪; দ্বিতী. ৫:১৮)।
2. নতুন পরিপূরক ব্যবস্থা-কামভাবে না তাকানো
ব্যভিচার সংক্রান্ত নতুন পরিপূরক ব্যবস্থাটি ২৮ পদে পাওয়া যায়: “কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল।” পুরানো ব্যবস্থার আইন ব্যভিচারের বাহ্যিক নিয়ে কাজ করে, যেখানে রাজ্যের নতুন ব্যবস্থা হৃদয়ের অভ্যন্তরীণ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ করে।
a . এই ধরনের পাপের গুরুতরতা বিবেচনা করা রাজ্যের সাথে সম্পর্কযুক্ত
আমাদের অবশ্যই রাজ্যের সাথে এই ধরনের পাপের গুরুতরতা বিবেচনা করতে হবে। এই পাপের গম্ভীরতা ২৯ এবং ৩০ পদে প্রভুর বাণী দ্বারা নির্দেশিত হয়েছে যেমন আমাদের চোখ উপড়ে ফেলা এবং আমাদের কাছ থেকে নিক্ষেপ করা এবং আমাদের হাত কেটে ফেলা এবং আমাদের কাছ থেকে এটা নিক্ষেপ করা। এই দুটি পদেই প্রভু বলেছেন, “আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা তোমার সমস্ত শরীর নরকে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল। আর তোমার দক্ষিণ হস্ত যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা কাটিয়া দূরে ফেলিয়া দেও; কেননা তোমার সমস্ত শরীর নরকে যাওয়া অপেক্ষা বরং একটি অঙ্গের নাশ হওয়া তোমার পক্ষে ভাল।” এটা, যাইহোক, আক্ষরিকভাবে পালন করা উচিত নয়; এটি শুধুমাত্র আধ্যাত্মিকভাবে সম্পন্ন করা যেতে পারে, যেমন রোমীয় ৮:১৩ এবং কল. ৩:৫ পদে প্রকাশিত হয়েছে। আমি কিছু মামলা জানি যারা এই বাক্যটি আক্ষরিকভাবে প্রয়োগ করেছে। এই মামলাগুলির মধ্যে একটি ছিল একজন জুয়াড়ি যিনি বাক্যের এই অংশটি পড়ার পরে আক্ষরিক অর্থে তার হাত কেটে ফেলেছিলেন। অবশেষে তিনি আবিষ্কার করলেন যে, যদিও তার হাত কেটে ফেলা হয়েছে, তবুও তার মধ্যে একটি অভ্যন্তরীণ হাত রয়েছে যা জুয়া খেলতে চায়। তিনি শিখেছিলেন যে তার শারীরিক হাত কেটে ফেলা কাজ করে না, কারণ সমস্যাটি ভিতরের হাতের ছিল। যদিও এই বাক্যটি আক্ষরিক অর্থে নেওয়া যায় না, তবে এটি এমন পাপের গুরুতরতা প্রকাশ করেছে।
২৯ এবং ৩০ পদে প্রভুর বাক্য অনুসারে, সংরক্ষিত ব্যক্তিদের গেহেনায় নিক্ষেপ করা সম্ভব। এর মানে হল যে এমনকি উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা দ্বিতীয় মৃত্যুর দ্বারা আহত হতে পারে। প্রকাশিত বাক্য ২:১১ পদে প্রভু যীশু বলেছেন, “যাহার কর্ণ আছে, সে শুনুক, আত্মা মণ্ডলীগণকে কি কহিতেছেন। যে জয় করে, সে দ্বিতীয় মৃত্যু দ্বারা বিনষ্ট হইবে না।” যেমনটি আমরা উল্লেখ করেছি, নরককুণ্ড হল আগুনের হ্রদের প্রতীক, যা দ্বিতীয় মৃত্যু (প্রকা. ২০:১৫)। প্রকা. ২:১১ পদে প্রভুর বাণী ইঙ্গিত করে যে দ্বিতীয় মৃত্যুর দ্বারা বিশ্বাসীদের আঘাত করা সম্ভব। প্রকা. ২:১১-এ প্রভুর বাক্যটি মথি ৫:২৯ এবং ৩০ পদে তাঁর কথার সাথে মিলে যায়। একজন উদ্ধারপ্রাপ্ত ব্যক্তি হিসাবে, আপনি যদি এই ধরনের পাপের সাথে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে গুরুতর না দাও, তবে আপনি একদিন দ্বিতীয় মৃত্যুর দ্বারা আহত হবেন। প্রভু যীশু এখানে বলেছেন, আপনাকে নরককুণ্ডে নিক্ষেপ করা হবে। এর মানে এই নয় যে আপনি ধ্বংস হয়ে যাবেন; এর মানে হল যে আপনি শৃঙ্খলাবদ্ধ হবেন। তদুপরি, আগুনের নরককুণ্ড ক্যাথলিক ধর্মের শুদ্ধিকরণকে নির্দেশ করে না। কিন্তু নরককুণ্ড এই শব্দটি আপনাকে সতর্ক করে যে আপনি যদি আজ এই পাপের মোকাবেলায় গুরুতর না নেন, যখন প্রভু যীশু ফিরে আসবেন, তিনি আপনার উপর তাঁর বিচার প্রয়োগ করবেন। (দ্বিতীয় মৃত্যুর দ্বারা আহত হওয়ার বিষয়ে আরও একটি বাক্যের জন্য, প্রকাশিত বাক্যের জীবন অধ্যয়ন, বার্তা এগারো, পৃষ্ঠা ১৩৬-১৩৮ দেখুন)।
আমরা দেখেছি, ২২ পদে যে তিন ধরনের বিচারের কথা বলা হয়েছে সবই খ্রীষ্টের বিচারের আসনে তার বিচারকে নির্দেশ করে। এই বিচারের সাথে অবিশ্বাসীদের কোন সম্পর্ক নেই, যারা সহস্রাব্দের পরে মহান সাদা সিংহাসনে বিচার করা হবে (প্রকা. ২০:১২,১৫)। কোন অবিশ্বাসী ব্যক্তি খ্রীষ্টের ফিরে আসার সময় বিচারের আসনের সামনে দাঁড়ানোর যোগ্য হবে না। যারা এই বিচারের আসনে উপস্থিত হবে তারা সবাই রক্ষা পাবে। সেখানে বিশ্বাসীদের বিচার করা হবে পরিত্রাণ বা ধ্বংসের জন্য নয়, কিন্তু পুরস্কার বা শাস্তির জন্য।
বিচার এবং আগুনের নরককুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার বিষয়ে প্রভুর দ্বারা উচ্চারিত বাক্যটি একটি গুরুতর বাক্য। এই ধরনের একটি বাক্য আমাদের শান্ত করা উচিত এবং এই ধরনের পাপের সাথে মোকাবিলা করতে আমাদের শিথিল করা উচিত নয়। এই পাপকে কখনোই তুচ্ছ মনে করবেন না। ব্যভিচার সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি খুবুই শোচনীয়। আমাদের কখনই এই বিষয়ে হালকা হওয়া উচিত নয়। প্রভুর নিজের বাক্য আমাদের দেখায় যে এটি কতটা গুরুতর। আমাদের অবশ্যই সতর্ক হতে হবে এবং এটিকে খুব গুরুতরভাবে মোকাবেলা করতে হবে। যাইহোক, আমরা আমাদের সদস্যদের সাথে আক্ষরিকভাবে আচরণ করি না। বরং, আমাদের অবশ্যই খ্রীষ্টের ক্রুশের দ্বারা আমাদের পাপী সদস্যদের দমন করতে হবে। যেমন রোম. ৮:১৩ প্রকাশ করে, আত্মার দ্বারা আমাদের অবশ্যই "শরীরের অভ্যাসগুলিকে হত্যা করতে হবে" এবং, যেমন কল. ৩:৫ বলে, আমাদের অবশ্যই আমাদের "পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর" মরতে হবে। আমাদের পাপী সদস্যদের সাথে মোকাবিলা করার এটাই সঠিক উপায়।
b . যে কোনো মূল্যে এমন একটি পাপের উদ্দেশ্যকে দূরে রাখা
২৯ এবং ৩০ পদগুলিও ইঙ্গিত দেয় যে আমাদের যে কোনও মূল্যে এই ধরনের পাপের উদ্দেশ্য ত্যাগ করতে হবে। এখানে প্রভুর উদ্দেশ্য হল আমাদের শান্ত করা যাতে আমরা কেবল কর্মই নয়, এই ধরনের পাপের উদ্দেশ্যকেও দূরে সরিয়ে দিই। যদি আমরা তা করতে ব্যর্থ হই, তিনি আমাদের তাঁর আগমনের সময় আগুনের নরককূণ্ডে ফেলে দেবেন। এটি একটি খুব নিখুঁত বাক্য।
|
