সত্য

LIFE-STUDY OF MATTHEW
MESSAGE TWENTY
মথি সুসমাচারের জীবন-অধ্যয়ন
বিংশ বাণী
রাজ্যের সংবিধানের ফরমান 
(৮)
 

শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে, খ্রিষ্টানদের ব্যবস্থা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা ছিল না। একদিকে, রোমীয় এবং গালাতীয় পুস্তকে আমাদের বলা হয় যে আইন পূর্ণ হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রোমীয় ১০:৪ পদে বলে, "খ্রীষ্টই আইন-কানুন পূর্ণ করে তার শক্তি বাতিল করেছেন, যেন তাঁর উপর যারা বিশ্বাস করে তারা ঈশ্বরের গ্রহণযোগ্য হয়।" এর উপর ভিত্তি করে, অনেক খ্রিষ্টান মনে করে যে তারা আইন ভুলে যেতে পারে। অন্যদিকে, মথি ৫:১৭ এ প্রভু যীশু বলেছেন, “এই কথা মনে কোরো না, আমি মোশির আইন-কানুন আর ভাববাদীদের লেখা বাতিল করতে এসেছি। আমি সেগুলো বাতিল করতে আসি নি বরং পূর্ণ করতে এসেছি। এই বাক্যটি অনেক খ্রিষ্টানকে বিরক্ত করেছে। আমরা প্রভুর প্রশংসা করি যে তিনি আমাদের এই বিষয়ে স্পষ্ট আলো দিয়েছেন।
                                           

আইনের তিনটি দিক
আইনের এই বিষয়টি বোঝার জন্য, আমাদের অবশ্যই আইনের তিনটি দিক জানতে হবে: আইনের নীতি, আইনের আদেশ এবং আইনের আচার অনুষ্ঠান। আপনি যদি এই তিনটি জিনিসের মধ্যে পার্থক্য না করেন তবে আপনি কখনই আইন সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাবেন না। আমরা দেখেছি, আইনের নীতি শেষ হয়ে গেছে। আজ, অনুগ্রহের ব্যবস্থায়, ঈশ্বর আমাদের সাথে আইনের নীতি অনুসারে আচরণ করেন না; বরং তিনি আমাদের সাথে বিশ্বাসের নীতি অনুযায়ী মোকাবিলা করেন। আমরা বিচারিত, উদ্ধারকৃত এবং ঈশ্বরের দ্বারা গৃহীত হব কি না তা নির্ভর করে বিশ্বাসের নীতির উপর, আইনের নীতির উপর নয়। যতক্ষণ আমরা খ্রীষ্টে বিশ্বাস করি, ততক্ষণ আমরা ঈশ্বরের দ্বারা ন্যায়সঙ্গত, তাঁর দ্বারা গৃহীত এবং উদ্ধারকৃত। এটাই অনুগ্রহের ব্যবস্থার অধীনে খ্রীষ্টের মধ্যে আইনের নীতির বিলুপ্তির জন্য অর্থ।
যদিও আইনের মূলনীতি বিলুপ্ত হলেও আইনের আদেশ বাতিল করা হয়নি। পরিবর্তে, এই আদেশের মান উন্নত করা হয়েছে। এইভাবে, নৈতিক মান সম্পর্কিত আদেশগুলি বিলুপ্ত করা হয়নি; তারা অনন্তকাল থাকবে। এমনকি অনন্তকালের জন্য আমাদের মূর্তি পূজা, হত্যা, চুরি বা মিথ্যা বলা উচিত নয়। তাঁর স্বর্গীয় রাজ্যে রাজার আইনের মানকে দুটি উপায়ে উন্নীত করেছেন: নিম্ন আইনের পরিপূরক করেছে এবং নিম্ন আইনকে উচ্চতর আইনে পরিবর্তন করেছে। এইভাবে আইনের আদেশে নৈতিকতাকে উচ্চতর মানদণ্ডে উন্নীত করা হয়েছে।
রাজকীয় ত্রাণকর্তা নিজে যখন পৃথিবীতে ছিলেন তখন আইনের সমস্ত আদেশ পালন করেছিলেন। তারপর তিনি আমাদের জন্য মরতে ক্রুশে গিয়েছিলেন। তাঁর প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে, তিনি নেতিবাচক দিকে আইন পূর্ণ করেছেন। তদ্ব্যতীত, তাঁর প্রতিস্থাপিত মৃত্যুর মাধ্যমে, তিনি তাঁর পুনরুত্থান জীবন আমাদের মধ্যে প্রকাশ করেছিলেন, এবং এখন আমাদের আত্মায় এই পুনরুত্থান জীবন রয়েছে। যেহেতু আমরা এই পুনরুত্থান জীবনের দ্বারা বাঁচতে সক্ষম, আমাদের নৈতিকতার সর্বোচ্চ মান অর্জনের শক্তি, সামর্থ্য এবং ক্ষমতা রয়েছে। আমরা আত্মা অনুযায়ী চলার সাথে সাথে (রোম. ৮:৪), আমরা আইনের ধার্মিক প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করি, আইনের প্রয়োজনের চেয়েও বেশি পূরণ করি। অতএব, আমরা আইন বাতিল করি না; বরং, আমরা সর্বোচ্চ উপায়ে তা পূরণ করি।
আইনের তৃতীয় দিকটি হল আইনের আচার-অনুষ্ঠান। উদাহরণস্বরূপ, বলিদান এবং বিশ্রামবার পালন করা হল আইনের বাহ্যিক আচার। এই আচার-অনুষ্ঠানগুলিও বন্ধ করা হয়েছিল কারণ তারা ছায়া, পরিসংখ্যান এবং প্রকারের পুরানো ব্যবস্থার অংশ ছিল, যার সমস্ত কিছুই খ্রীষ্ট বাস্তবতা হিসাবে পূর্ণ করেছেন। আমরা আর আইনের আচার অনুষ্ঠান পালন করতে বাধ্য নই। অতএব, আইনের নীতি এবং আইনের আচার-অনুষ্ঠানগুলি শেষ করা হয়েছে, তবে আইনের আদেশগুলি, যার জন্য একটি উচ্চ নৈতিক মান প্রয়োজন, যেটা শেষ করা হয়নি। বরং এই আদেশগুলোকে উন্নীত করা হয়েছে। আমাদের আত্মায় পুনরুত্থান জীবন হিসাবে খ্রীষ্টের মাধ্যমে, আমরা স্বর্গরাজ্যের উচ্চতর আইন দ্বারা প্রয়োজনীয় নৈতিকতার মান পূরণ করতে পারি। এই বাক্যটি আইনের তিনটি দিক অনুসারে আমাদেরকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে: আইনের নীতি, আইনের আদেশ এবং আইনের আচার অনুষ্ঠান।

পিতার জীবন এবং স্বভাব দ্বারা বেঁচে থাকা

মথি ৫ এর শেষে প্রভু যীশু বলেছেন, "এইজন্য বলি, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা যেমন খাঁটি তোমরাও তেমনি খাঁটি হও" (৪৮ পদ)। এই বাক্যটি সংবিধানের এই ধারাটি শেষ করেছে, একটি ধারা যা অত্যন্ত উচ্চ। এই সমস্ত প্রয়োজনীয়তা পড়ার পরে, আমরা সবাই বলব যে আমরা সম্ভবত সেগুলি পূরণ করতে পারি না। তারপরে আমরা ৪৮ পদে আসি যা আমাদেরকে বলে যে আমাদের অবশ্যই নিখুঁত হতে হবে যেমন আমাদের স্বর্গীয় পিতা নিখুঁত। এই পদটি একটি নির্দেশক যে আমাদের মধ্যে পিতার জীবন এবং স্বভাব রয়েছে। আমরা তাঁর থেকে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমরা তাঁর সন্তান। কারণ আমরা তাঁর জীবন ও স্বভাবের অধিকারী তাঁর সন্তান, আমাদের তাঁর অনুকরণ বা অনুলিপি করার কোন প্রয়োজন নেই। যতদিন আমরা তাঁর জীবনে বড় হব, আমরা তাঁর মতোই হব। এইভাবে, স্বর্গরাজ্যের আইনের সমস্ত প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ করে যে এই ঐশ্বরিক জীবন এবং স্বভাব আমাদের জন্য কতটা করতে পারে। আমাদের একমাত্র প্রয়োজন উন্মোচিত হওয়া যাতে আমরা নিজেদের মধ্যে সমস্ত আশা ছেড়ে দিতে পারি, যখন আমরা উন্মুক্ত হয়ে যাই, আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের স্বাভাবিক জীবন আশাহীন। তারপর আমরা আমাদের স্বাভাবিক জীবন ত্যাগ করব, আমাদের পিতার জীবনের দিকে ফিরে যাব এবং ঐশ্বরিক স্বভাবের সাথে থাকব। স্বতঃস্ফূর্তভাবে, এই জীবন আমাদের মধ্যে বৃদ্ধি পাবে এবং এই সর্বোচ্চ আইনের প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করবে। আমাদের আজকের প্রয়োজন আমাদের আত্মার দিকে ফিরে যাওয়া এবং আমাদের চেতনায় চলা। যখনই আমরা এটা করি, আমরা আমাদের পিতার জীবন ও স্বভাব অনুসারে জীবনযাপন করি; তারপর স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা আইনের ন্যায়সঙ্গত প্রয়োজনীয়তাগুলি পূরণ করি। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এই বিষয়টি বুঝতে পারি, কারণ এটি আমাদের সহজাত ধারণা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।

আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি সাক্ষ্য দিতে পারি যে আজ আমি আইনের নীতির অধীনে নই। হাল্লেলুইয়া, আমি বিশ্বাসের নীতির অধীনে আছি, এবং আমার মধ্যে আমার স্বর্গীয় পিতার জীবন আছে! এই জীবন পিতার প্রিয় পুত্র ছাড়া আর কিছু নয়। আমি এখন আমার আত্মায় এই জীবন যাপন করছি এবং আত্মা অনুসারে চলছি। আমার আত্মায় এই জীবনের দ্বারা আমি স্বতঃস্ফূর্তভাবে স্বর্গরাজ্যের আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োজনীয়তা পূরণ করি। এটা আমার গর্ব নয়; এটা প্রভুর গৌরব দিতে আমার বিনীত সাক্ষ্য। এর মানে এই নয় যে আমি কিছু করতে পারি। এর অর্থ হল তিনি সক্ষম, কারণ তিনি আমার জীবন হিসাবে আমার মধ্যে আছেন। তিনি আপনার মধ্যে এবং আপনার জন্য একই কাজ করতে সক্ষম। এটি আপনার অভিজ্ঞতা হওয়ার জন্য, আপনার স্বাভাবিক জীবনের নিরাশা সম্পর্কে আপনার দৃষ্টি থাকতে হবে। আপনার স্বাভাবিক জীবন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খনন এবং উন্মোচিত হওয়ার পরে, আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি একটি আশাহীন ঘটনা, এতে আপনার কোনও আস্থা থাকা উচিত নয় এবং আপনাকে অবশ্যই পিতার ঐশ্বরিক জীবন এবং আপনার মধ্যে থাকা স্বভাবের দিকে ফিরে যেতে হবে। পিতার জীবনের দিকে ফিরে যাও, পিতার জীবন নিয়ে থাকো, পিতার জীবন নিয়ে বাঁচো। আপনি সহজেই পিতার জীবনের দিকে ফিরে যেতে পারেন কারণ এই মুহূর্তে এটি আপনার আত্মায় রয়েছে। কেবল আপনার আত্মা অনুসারে চলুন, এবং আইনের সমস্ত ধার্মিক প্রয়োজনীয়তা আপনার মধ্যে পূর্ণ হবে।

আত্মা অনুযায়ী চলার মধ্য দিয়ে আইনের ধার্মিকতা প্রয়োজনীয় পরিপূর্ণ করা

এই মুহুর্তে আমাদের রোমীয় ৮-এর কিছু পদ বিবেচনা করতে হবে। রোমীয় ৮:৩ বলে, "মানুষের পাপ-স্বভাবের দরুন আইন-কানুন শক্তিহীন হয়ে পড়েছিল, আর সেইজন্য আইন-কানুন যা করতে পারে নি ঈশ্বর নিজে তা করেছেন। তিনি পাপ দূর করবার জন্য নিজের নিষ্পাপ পুত্রকে মানুষের স্বভাব দিয়ে পাঠিয়ে দিলেন এবং তাঁর পুত্রের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে পাপের বিচার করে তার শক্তিকে বাতিল করে দিলেন।" আমাদের দৈহিক দুর্বলতার কারণে আমাদের পক্ষে ব্যবস্থা পালন করা অসম্ভব। আমরা কিছুই করতে পারি না। যতদূর আইনের বিষয় দ্বারা, আমাদের সমাধান করা অসম্ভব। তাই, ঈশ্বর, পাপের মাংসের প্রতিরূপ এবং পাপের বিষয়ে তাঁর নিজের পুত্রকে পাঠিয়েছেন, পাপকে দৈহিকভাবে নিন্দা করেছেন, যাতে "আমাদের মধ্যে ব্যবস্থার ধার্মিক চাহিদা পূর্ণ হয়, যারা মাংস অনুসারে চলে না, কিন্তু আত্মা অনুযায়ী চলে" (৪ পদ)। কারণ এটা অসম্ভব ছিল, আমাদের দেহের দুর্বলতার কারণে, আইন পূর্ণ হওয়ার জন্য, ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছিলেন আইনকে ইতিবাচক দিকে রাখার জন্য, এবং নেতিবাচক দিকে আমাদের দুর্বলতার জন্য মৃত্যুবরণ করেছেন। এটা করার তাঁর উদ্দেশ্য ছিল যে আমাদের মধ্যে আইনের ধার্মিক চাহিদা পূরণ করা যেতে পারে। ৪ পদে "আমাদের" বলতে বোঝায় যারা মাংস অনুযায়ী চলে না, কিন্তু আত্মা অনুযায়ী চলে। ঈশ্বর তাঁর পুত্রকে পাঠিয়েছেন আইন রক্ষা করার জন্য এবং আমাদের জন্য মরতে যাতে আমরা আইনের ধার্মিক চাহিদা পূরণের জন্য আত্মায় চলতে পারি।

কিভাবে আমাদের আত্মা গঠিত হয়

রোমীয় ৮:১৬ প্রকাশ করে যে কীভাবে আমাদের আত্মা গঠিত হয়: "পবিত্র আত্মাও নিজে আমাদের অন্তরে এই সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, আমরা ঈশ্বরের সন্তান।" এই পদটি প্রকাশ করে যে আমাদের আত্মা যেটিতে আমরা আইনের ধার্মিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য চলি তা আমাদের আত্মার সাথে পবিত্র আত্মার সাক্ষ্যের মাধ্যমে গঠিত হয়। এটি নির্দেশ করে যে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা আমাদের আত্মার মধ্যে এসেছেন। এটি আমাদের পুনর্জন্মের সময় ঘটেছিল। ঈশ্বরের আত্মা আমাদের পুনর্জন্মের জন্য আমাদের আত্মায় এসেছেন। সেই সময় থেকে, পবিত্র আত্মা আমাদের আত্মার সাথে সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে আমরা ঈশ্বরের সন্তান। এইভাবে, ১৪ পদ বলে, “কারণ যারা ঈশ্বরের আত্মার পরিচালনায় চলে তারাই ঈশ্বরের সন্তান।”

 শুধু ঈশ্বরের সৃষ্টি নয়, কিন্তু এছাড়াও তাঁর পুনর্জাত শিশু

আমাদের সামনে এই পদগুলির মাধ্যমে, আমরা বুঝতে পারি যে কেন প্রভু মথি ৫-এ তাঁর বাক্যটি শেষ করেছেন এই বলে, "এইজন্য বলি, তোমাদের স্বর্গস্থ পিতা যেমন খাঁটি তোমরাও তেমনি খাঁটি হও।" আমরা শুধু ঈশ্বরের সৃষ্টি নই; আমরাও তাঁর পুনর্জাত সন্তান, তাঁর জীবন ও স্বভাবের অধিকারী। এইভাবে, আমরা ঈশ্বরের সৃষ্টি নই যে তাঁকে অনুকরণ ও নকল করার চেষ্টা করছি; আমরা পিতার সন্তান পিতার জীবন যাপন করছি। আমরা কিভাবে ঈশ্বরের সন্তান হলাম? এটা ছিল আমাদের আত্মার মধ্যে ঈশ্বরের আত্মার আগমনের মাধ্যমে আমাদের পুনর্জাত করা এবং আমাদের আত্মাকে স্বয়ং ঈশ্বরের বাসস্থানে পরিণত করা (ইফি. ২:২২, Gk.)। এখানে, আমাদের আত্মায়, আমরা ঈশ্বরের সন্তান হওয়ার মধ্যমে ঈশ্বরের জীবন ও স্বভাব লাভ করেছি। যদি আমরা এই পুনর্জাত আত্মা অনুসারে চলি, তবে আমরা ঈশ্বরের সন্তান ঈশ্বরের জীবন দ্বারা বেঁচে আছি। যখন আমরা বাস করি এবং আত্মায় চলবো, স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমরা নিখুঁত হব যেমন আমাদের স্বর্গীয় পিতা নিখুঁত।

একজন ভাইয়ের কথা বিবেচনা করুন যার চারটি সন্তান রয়েছে। এই ছোটরা যত বড় হয়, ততই তারা তাদের বাবার মতো বাঁচে। এই শিশুরা চারটি বানর নয় একজন মানুষের অনুকরণ করার চেষ্টা করছে। না, তারা তাদের বাবার সন্তান যারা তাদের বাবার প্রতিমূর্তিতে বেড়ে উঠছে। তারা যত বড় হয়, তত বেশি তারা তাদের বাবার জীবনযাপন করে। একইভাবে, আমরা বানর নই - আমরা ঈশ্বরের সন্তান। যদিও আমাদের মধ্যে কেউ কেউ শিশুসুলভ হতে পারে, তবুও আমরা বেড়ে উঠছি। এই তরুণরা দুষ্টু হতে পারে, কিন্তু তারা বেড়ে উঠছে। একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক বছরের জন্য অপেক্ষা করুন, এবং আপনি দেখতে পাবেন যে এই সমস্ত দুষ্টু ছোটরা নিখুঁত হবে যেমন তাদের স্বর্গীয় পিতা নিখুঁত। আমি খুব খুশি যে মণ্ডলীর সমস্ত পবিত্রগণ বানর নয়, কিন্তু প্রিয় শিশু হয়েছেন। এই শিশুদের কিছুক্ষণ দুষ্টু হতে দিন। অবশেষে তারা বৃদ্ধি পাবে। আমরা ঈশ্বরকে অনুকরণ করার চেষ্টা করছি না। বরং আমরা বাবার সন্তান বাবার জীবনে বেড়ে উঠি। এই কারণেই প্রভু যীশু বলেছেন যে আমাদের স্বর্গীয় পিতা যেমন নিখুঁত আমাদের নিখুঁত হওয়া উচিত।

এখন আমরা বুঝতে পারি কেন মথি পঞ্চম অধ্যায়ে প্রভু আমাদেরকে ঈশ্বরের সন্তান বা ঈশ্বরের পুত্র হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি অবিশ্বাসীদেরকে, যারা নিছক ঈশ্বরের সৃষ্টি, তাদেরকে একটি বাক্যও দিচ্ছিলেন না; তিনি ঈশ্বরের পুত্রদের জন্য বাক্য দিচ্ছিলেন। ঈশ্বর আর নিছক আমাদের সৃষ্টিকর্তা নন; তিনি আমাদের স্বর্গীয় পিতাও। কারণ তিনি আমাদের পিতা, আমাদের তাঁর জীবন ও স্বভাব আছে। অবশেষে, জীবনে আমাদের বৃদ্ধির মাধ্যমে, আমরা তিনি যেমন তেমনই হব। আরেকটা সময়ের জন্য অপেক্ষা করুন, দেখবেন আমরা অনেকেই সিদ্ধ হয়ে গেছি যেমন পিতা নিখুঁত।

 ঈশ্বরের সাথে কোন সময় উপাদান নেই

কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারে যে পাহাড়ে শিষ্যরা কীভাবে পুনর্জাত হতে পারে। যেহেতু জীবন-দানকারী আত্মা তখনও তাদের মধ্যে প্রবেশ করেনি, তাই আমরা কীভাবে বলতে পারি যে সেই শিষ্যদের পুনর্জন্ম হয়েছিল? মনে রাখবেন, ঈশ্বরের সাথে কোন সময়ের উপাদান নেই। পরিবর্তে, সেখানে নীতি রয়েছে। প্রভু যীশু যখন পাহাড়ে শিষ্যদের সাথে কথা বলছিলেন, তাদের রাজ্যের সংবিধানের ফরমান দিয়েছিলেন, তিনি নীতি অনুসারে কথা বলেছিলেন, সময়ের উপাদান অনুসারে নয়। ঈশ্বরের কোন সময় উপাদান নেই; সে সব কিছু একবার করে। আমাদের মনে আগে এবং পরে এমন কিছু আছে, কিন্তু ঈশ্বরের মনে এইভাবে নেই। হ্যাঁ, একদিন খ্রীষ্ট ক্রুশে মুক্তির কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন, এবং একদিন জীবন-দানকারী আত্মা গঠিত হয়েছিল। কিন্তু ঈশ্বরের দৃষ্টিতে এই বিষয়গুলি কখন ঘটেছিল তা নির্ধারণ করা কঠিন, কারণ ঈশ্বরের ধনাধ্যক্ষতায় এগুলি চিরন্তন। ক্রুশ এবং জীবন-দানকারী আত্মা উভয়ই চিরন্তন। যেহেতু পাহাড়ের সেই শিষ্যরা প্রভু যীশুতে বিশ্বাস করেছিল এবং তাঁকে অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, নীতিগতভাবে তারা পুনর্জাত হয়েছিল এবং প্রভু তাদের পুনর্জন্মপ্রাপ্ত মানুষ হিসাবে বিবেচনা করেছিলেন।